Uncategorized

পানি কখন কতটুকু পান করবেন?

আমাদের শরীরে প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই পানি। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে তাই পানি পানের বিকল্প নেই। কিন্তু কতটুকু পানি পান করব সারা দিনে? কখন বেশি আর কখন কম পানি পান করা উচিত? পর্যাপ্ত পানি পানের যেমন সুফল আছে, তেমনি অপর্যাপ্ত পানি পানের কারণে পড়তে হয় নানা সমস্যায়। পানি কখন কতটুকু পান করতে হয় এ প্রসঙ্গে ইউটিউবে আমার একটা ভিডিও পরামর্শ দেয়া আছে।
ভিডিওটির লিঙ্ক: https://youtu.be/rxgDoKemU8k

পানি পানের নিয়ম-কানুন:

পানির অপর নাম জীবন- এই কথাটির গুরুত্ব বুঝতে হলে সঠিক নিয়মে পানি পানের অভ্যাস গড়তে হবে। পানি বেশি পান করা যাবে না, পানি কমও পান করা যাবে না। পানি পানের সঠিক নিয়ম হলো আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে, সকালে খালি পেটে তিন গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস করতে হবে। এতে শরীরে জমে থাকা টক্সিন বেড় হয়ে যাবে। যা আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী। সকালে পানি পানের পর সারাদিন আর কোন অবস্থাতে এক গ্লাস ঢক ঢক করে পানি পান করা যাবে না, পানি পান করতে হবে ধীরে ধীরে একগ্লাস পানিকে তিন/চার বারে পান করুন। খাবারের সাথে সাথে পানি পান করা খুব খারাপ অভ্যাস, এতে খাদ্যের কোন গুন কাজে লাগে না, সঠিক নিয়ম হলো, খাওয়ার আধাঘন্টা আগে এবং আধা ঘন্টা পরে পানি পানের অভ্যাস করতে হবে। শরীর অসুস্থ থাকলে কুসুম গরম পানি পান করতে হবে, কখনও কোন অবস্থায় ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না। রাতে খাওয়ার আধা ঘন্টা পর পানি পান করে আর কোন পানি পান না করাই উত্তম, এতে ইউরিন ট্রাক ভাল থাকবে।

পানি পান নিয়ে মন্তব্য

আপনি যদি এই নিয়মে পানি পান করেন তাহলে বেশ কিছু উপকার পাবেন। আপনাদের জ্ঞাতার্থে আমি একটি কমেন্ট স্ক্রিনশট শেয়ার করে দিলাম। পর্যাপ্ত পানি পান করার উপকারিতাগুলো পেতে হলে অবশ্যই এই নিয়মে পানি পান করতে হবে।

পর্যাপ্ত পানি পানের সুফল

পর্যাপ্ত পানি পানে কিডনি, যকৃৎ, হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক ভালো থাকে। শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। পানি শরীরের ভেতরের কোষগুলোকে সবল ও স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। পানি পানের ঘাটতি দেখা দিলে এই কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পানের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। কেননা পান করার পানি বিশুদ্ধ না হলে ডায়রিয়া, কলেরা ও টাইফয়েডের মতো পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কমপক্ষে আধঘণ্টা ভালো করে ফুটিয়ে তারপর ঠান্ডা করার মধ্য দিয়ে পানি জীবাণুমুক্ত হতে পারে। অথবা সঠিক পদ্ধতিতে ফিল্টার করেও পানি পান করা যেতে পারে। এ ছাড়া বাজার থেকে বোতলজাত পানি কেনার ক্ষেত্রেও সেগুলো দেখে শুনে কেনা উচিত।

অপর্যাপ্ত পানি পানের সমস্যা

পর্যাপ্ত পানি পান না করলে মানবদেহে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। পানির ঘাটতি থেকে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এ থেকে শরীরে রক্ত চলাচল কমে আসা এবং কিডনি অকেজো হয়ে পড়ারও আশঙ্কা থাকে। নারীদের মধ্যে অনেকে অনেক সময় প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পান করেন। বিশেষত যাদের নানা কাজে বাইরে বেরোতে হয় তাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। এর প্রধান কারণ আমাদের শহর-নগরে পর্যাপ্ত ও ভালো পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকা। আর পানি কম পান করায় তাদের ইউরিন ইনফেকশন এবং কিডনির জটিলতা বৃদ্ধি পায়।

আলমগীর আলম
ন্যাচারোপ্যাথি ও আকুপ্রেসার বিশেষজ্ঞ

Leave a Reply