আকুপ্রেসার নিয়ে কাজ করার পর থেকে আর কিছু পাই বা না পাই আপনাদের ভালোবাসা সবসময়ই পেয়ে আসছি। মাঝে মধ্যেই হঠাৎ অপরিচিত কোন মানুষের ফোন আসে, বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ চায়। সম্ভব হলে আমি বেশিরভাগ সময় ফোনেই পরামর্শ দেই। অবস্থা জটিল মনে হলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে বলি অথবা, হোয়াটসঅ্যাপে পরামর্শ দেই। কথা হলো মানুষ শুধু পরামর্শ নিতেই ফোন কিংবা ম্যাসেজ করে না। যারা আমাকে কল/টেক্সট করে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আছে শুধুমাত্র ধন্যবাদ দেয়। আমি তাদেরকে চিনি না, তাদের সম্পর্কে কিছুই জানি না, তবুও তারা আমায় ধন্যবাদ দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বলে যে, ইউটিউবে আমার ভিডিও দেখে উপকৃত হয়েছে তাই ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
থাইরয়েড সমস্যা এক জটিল সমস্যা। তবে আকুপ্রেসার এবং ন্যাচারোপ্যাথি মেনে চললে যে থাইরয়েড সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যায়, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে নিঃসন্দেহে এটা লম্বা সময়ের ব্যাপার। দীর্ঘদিন নিয়মিত আকুপ্রেসার ও ন্যাচারোপ্যাথি মেনে চললে অবশ্যই থাইরয়েড ভালো হয়। এ নিয়ে আমার একটি ভিডিও দেয়া আছে ইউটিউবে। ভিডিও লিঙ্ক: https://www.youtube.com/watch?v=xX5pkUqIWnk
আজকে হঠাৎ আল মামুন নামের এক অপরিচিত ব্যক্তি ফেসবুকে ইনবক্স করেছে। কুশলাদি বিনিময়ের পর জানালো যে, তার স্ত্রীর থাইরয়েড সমস্যা ছিল। চার মাস আকুপ্রেসার করার পর, আলট্রাসোনো/টেস্ট করার পর রিপোর্ট নরমাল পেয়েছে। যদিও ফোলা ফোলা ভাবটা পুরোপুরি যায় নি; তবে আমি আশাবাদী একসময় এই ফোলা ভাব টাও থাকবে না।
কিন্তু আমার কথা হলো: প্রচলিত চিকিৎসা বিজ্ঞান কি মেনে এটা মেনে নিতে পারবে যে, থাইরয়েড আসলেই ভালো হয়!
আসুন সবাই প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে চলি, সুস্থ থাকি। সুস্থতার জন্য ডাক্তার, হাসপাতাল না খুঁজে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে জাগ্রত করি।
আলমগীর আলম
ন্যাচারোপ্যাথি ও আকুপ্রেসার বিশেষজ্ঞ