ক্লাসট্রোফোবিয়া হলো কোনো ছোট, আবদ্ধ ঘর বা জায়গার প্রতি অহেতুক ভীতি। যেখানে ব্যক্তি ভাবে যে সে ওই আবদ্ধ জায়গায় আটকে পড়বে এবং সেখান থেকে সে বের হতে পারবে না। এই ভীতি যে কোনো কিছু দ্বারা ট্রিগার হতে পারে। যেমন-লিফট, জানালাবিহীন ঘর, ছোট গাড়ি, এমনকি গলাবন্ধ জামা দ্বারাও এই ক্লাসট্রোফোবিয়া ট্রিগার হতে পারে এবং এর ফলে অনেক সময় প্যানিক অ্যাটাকও দেখা দিতে পারে।
উপসর্গসমূহ
ভয়ের পরিমাণ তীব্র হলে ব্যক্তির মধ্যে নিম্নরূপ উপসর্গসমূহ দেখা দেয়-
০১. ঘেমে যাওয়া এবং শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া
০২. হৃদস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে যাওয়া এবং উচ্চ রক্তচাপ
০৩. মাথা ঘোরা অথবা মাথা হালকা লাগা
০৪. মুখ শুকিয়ে যাওয়া
০৫. অবশ বা অসাড় অনুভূতি হওয়া
০৬. মাথা, কান, চেহারা হঠাৎ গরম হয়ে যাওয়া
০৭. কম্পনের অনুভূতি হওয়া
০৮. পেটে গুড়িগুড়ি অনুভূত হওয়া
০৯. বমি বমি ভাব
কারণ
০১. কোনো কারণে হঠাৎ কোনো আবদ্ধ জায়গায় আটকে পড়া
০২. শৈশবে কোনো এবিউজের শিকার হওয়া
০৩. কোনো জনবহুল জায়গায় বাবা-মা অথবা বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া
০৪. বাবা-মার মধ্যে ক্লাসট্রোফোবিয়া থাকা ইত্যাদি।
ব্যক্তি যখন একবার এ রকম পরিস্থিতির শিকার হয় তখন পরবর্তীতে সে এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে পূর্বের ঘটনার কথা মনে পড়ে এবং আতঙ্কিত বোধ করে।
প্রতিকার
০১. ওষুধ বা ড্রাগ পদ্ধতি
যে কোনো ধরনের ওষুধ বা ড্রাগ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।
০২. মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি :
মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে মূলত কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপি প্রদান করা হয়। এজন্য একজন পেশাদার মনোবিজ্ঞানীর শরণাপন্ন হতে হবে। মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। যেমন- সিবিটি বা কগনিটিভ বিহাভিওর থেরাপি, মডেলিং, সিস্টেমেটিক ডি-সেন্সিটাইজেসান কৌশল, এক্সপোজার কৌশল, রিলাক্সেসান ইত্যাদি।
০৩. আকুপ্রেসার. নিয়মিত আকুপ্রেসার করা গেছে এই রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব, কোন ওষুধ লাগেনা, রোগী নিজে নিজেই আকুপ্রেসার করতে পারবে। এটা অসম্ভব কার্যকর একটি পদ্ধতি।
আলমগীর আলম
প্রতিষ্ঠাতা, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র, 01611010011