বাঙ্গি বা কাকড় এক রকমের শশা জাতীয় ফল। ইংরেজীতে একে বলা হয় mask melon। এর বৈজ্ঞানিক নাম cucumis melo। আমরা অনেকেই এই ফলটিকে পছন্দ করিনা বা অন্যান্য বিদেশী ফলকে এর থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হয়। কিন্তু এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। রমজানে সতেজতা আনতে এ ফলের জুড়ি নেই।
দ্রুত সতেজতা ফেরাতে:
এটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি যা দেহের সতেজতা বজায় রাখে। রমজানে আমাদের ইফতারের টেবিলে এই ফলটি থাকা অবশ্যই জরুরি কারন এটি দ্রুত দেহের পানির চাহিদা পুরন করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে।তাছড়াও এতে রয়েছে মিনারেল যেমন: পটাশিয়াম, সোডিয়াম ইত্যাদি। এগুলো ইলেকট্রলাইটস্ এর ভারসম্য ঠিক করে এবং সতেজতাও ফেরায়।
উচ্চরক্তচাপ কমাতে:
যেহেতু এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম তাই এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে।
চোখের জ্যোতী বাড়াতে:
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-এ এবং বিটা ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে:
ফুটির বীজ এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আর যেহেতু এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম এটি পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
গর্ভবতী মায়ের জন্য:
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফলেট যা দেহে পানি জমতে দেয়না যেহেতু অতিরিক্ত সোডিয়াম দেহ থেকে বের করতে সাহায্য করে।
সুন্দর ঘুমের জন্য:
এটি স্নায়ু ও দেহের কোষকলাকে এমনভাবে বিশ্রাম দেয় যা সুন্দর ঘুমের জন্য সহায়ক।
আলসার এর চিকিৎসায়:
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন- সি যা আলসার প্রতিরোধে ও এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
কিডনি এর পাথর প্রতিরোধে:
বাঙ্গি এর একটি উপাদান অক্সিকাইন কিডনি এর পাথর হতে বাধা দেয় এবং কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার এর ঝুকি কমাতে:
এর ভিটামিন-সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুকি কমাতে:
বাঙ্গিতে রয়েছে অ্যাডিনোসিন যা রক্তকে পাতলা করে ফলে হৃদরোগের ঝুকি কমে যায়।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে:
যেহেতু এটি ভিটামিন-সি তে ভরপুর তাই এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও শ্বেতরক্ত কনিকার পরিমান বাড়ায় যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।
ধুমপান ছাড়তে:
এটি ফুসফুসকে পরিস্কার করে এবং নিকোটিন এর নেশা কাটাতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে:
যেহেতু এতে প্রচুর পরিমানে খাদ্য আশ রয়েছে তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে সাহায্য করে।
যেহেতু ফুটির এত গুন তাই সুস্থ থাকতে এই রমজানে ইফতারে অবশ্যই এই ফলটি আমাদের রাখা উচিৎ।