তিসি তেল এর উপকারিতাসমূহ:
- ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই: তিসি তেল প্রাকৃতিক ভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার, স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধে তিসি তেল কার্যকর। ২০১৫ সালে দ্যা জার্নাল নিউট্রিশন এন্ড ক্যান্সার সাপোর্ট এর এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, কার্যকর ভাবে শরীরে ক্যান্সারের প্রতিরোধ কোষ তৈরি করা যায় নিয়মিত তিসি তেল খাওয়ার মাধ্যমে।
- হার্ট ভালো রাখে: তিসি তেল হার্টকে বিশেষ ভাবে সুরক্ষা দেয়। কারন এতে থাকা Alpha linolenic acid হার্টকে সুস্থ রাখে এবং হার্টজনিত সকল রোগকে দূরে রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, কোন ব্যক্তি প্রতিদিন ১.৫ গ্রাম তিসি তেল সেবন করলে তার ৫০ শতাংশ হার্টের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে যায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: তিসি তেল আপনার প্রতিদিনের কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা কমাবে।
- ডায়রিয়া সমস্যার সমাধান: যাদের ঘন ঘন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার মতো সমস্যা আছে। নিয়মিত তিসির তেল সেবন করলে এই সমস্যা দূর হবে। কারন তিসি তেল মেটাবলিজম সিস্টেম উন্নত করে।
- ওজন কমানোর জন্য: তিসি তেল আমাদের দেহের কোলন সিস্টেম উন্নত করে এবং পাকস্থলীর হজম কাজে সহয়তা করে। তাছাড়া শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। ২০১৫ সালে নিউট্রিশন জার্নালের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ডায়েট প্লানে তিসি তেল যুক্ত করলে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব।
কিভাবে তিসি তেল ব্যবহার করবেন?
- প্রতিদিনের ডায়েটে ১ টেবিল চামচ তিসি তেল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। অথবা, স্মুথি ও কাঁচা সালাদে মিক্স করে খেয়ে নিতে পারেন।
- এছাড়া ত্বকের স্বাস্থ্যে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে তিসি তেল ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে। বিশেষ করে যাদের সিস্ট, টিউমার বা স্কিন ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ সমস্যা আছে, তারা তিসি তেল দিয়ে শরীর মালিশ করলে ধীরে ধীরে সমস্যা কমে আসবে।
- চুলের যত্নেও তিসি তেল মাথায় ব্যবহার করা যেতে পারে, চুল উজ্জ্বল হবে।
বি. দ্র: তিসি তেল রান্নার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ তিসি তেল উচ্চ তাপের সংস্পর্শে এলে ক্ষতিকারক যৌগ তৈরি হতে পারে।
তিসি তেল কোথায় পাবেন?
- প্রকৃতি’র ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে অর্ডার করে নিতে পারবেন।
- অথবা সরাসরি প্রকৃতি – প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র অফিসে এসে সংগ্রহ করতে পারেন।
- অফিস: ২৯, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ (৩য় তলা), গুলিস্তান, ঢাকা।
- প্রয়োজনে: 01710-935544 (10 AM to 7 PM)