শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রথমেই বদলাতে হবে খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপনের পদ্ধতি। আমাদের খাওয়া-দাওয়া, চাল-চলন ঠিক করার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও দৃষ্টিভঙ্গি। বিশেষ করে এখন করনাকালে বিশিষ্ট চিকিৎসকগণ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে সব পরামর্শ দিচ্ছেন, সেগুলো মেনে চললেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে-কোনো ভাইরাস, সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে ওষুধ বা টীকা নয়, সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে- দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যত সুন্দর হবে, যত ভালো হবে, তত মানুষ রোগকে প্রতিরোধ করতে পারবে। এবং রোগ বা ভাইরাস আক্রমণ করলেও দ্রুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা আক্রমণকরী শত্রুকে বিনাশ করে সুস্থ করে তুলবে। অন্যের কথায় প্রভাবিত না হয়ে বা মুখরোচক বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট না হয়ে প্রতিদিনের খাবার ঠিক করুন বিজ্ঞানসম্মতভাবে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন।
আসলে খাবার-দাবার, সঠিক পুষ্টি বিজ্ঞানসম্মত খাবার গ্রহণের যে গুরুত্ব শুধু জানা নয়, সেটা অনুসরণ করার গুরুত্ব তখনই আমরা বুঝতে পারব যখন আমরা সুস্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝতে পারব। সুস্বাস্থ্য যে কত বড় সম্পদ এটা একজন মানুষ বোঝেন যখন তিনি অসুস্থ হন তখন। সুস্বাস্থ্য এটা শুধু টাকা দিয়ে কেনা যায় না। এটার জন্যে প্রয়োজন শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আত্মিক- প্রতিটি ক্ষেত্রে সুস্থ জীবনদৃষ্টি।
খাবারের ব্যাপারে সহজ ফর্মুলা হচ্ছে- যে সুপাচ্য-সহজ খাবার গ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত মসলা, তেল-ঝাল, ভাজাপোড়া বর্জন করবেন। মাঝে মধ্যে একটু মসলা, একটু তেলতেলে জিনিস, একটু ঝাল, একটু ভাজাপোড়া খেলেন। কিন্তু ক্রমাগত অতিরিক্ত মসলা, তেলঝাল, ভাজাপোড়া বর্জন করবেন। সব খাবেন, তবে খাবারটা হতে হবে পুষ্টিবিজ্ঞানসম্মত এবং রুচিসম্মত।
যে সময়ে যে শাক-সবজি পাওয়া যায়, যে সিজনে যে ফল মূল পাওয়া যায়, সেগুলো খাবেন। শাক-সবজির মধ্যে বাঁধাকপি, লালশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, পাটশাক, কচুশাক, সজনে পাতা এবং আঁশজাতীয় যত সবজি, সবুজ শাক-সবজি বেশি খাবেন। খাবারের ব্যাপারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করার জন্যে ফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! প্রত্যেকটা অঞ্চলের মৌসুমী ফলে সে মৌসুমের রোগ প্রতিষেধক থাকে। যে অঞ্চলে যে মৌসুমে যে ফল হয়, সেই অঞ্চলে সেই মৌসুমে যে রোগ থাকে সে রোগের প্রতিষেধক ঐ ফলের মধ্যে থাকে। অতএব সবসময় মনে রাখবেন- ফল মানে হচ্ছে দেশজ ফল, আঞ্চলিক ফল এবং মৌসুমি ফল।
কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত ফল পাওয়া গেছে, তার মধ্যে কাঁঠাল হচ্ছে সবচেয়ে পুষ্টিকর এবং এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। শুধু কাঁঠাল নয়, কাঁঠাল-কাঁঠালের বিচি – দুটোই সমান পুষ্টিকর! কাঁঠাল বলকারক, রোগ প্রতিরোধক এবং ত্বকের রং ফর্সাকারক। এখন আমের সিজন, আম খাবেন। যখন পাওয়া যায় পেয়ারা, কুল খাবেন। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মমতো জামের বিচি, মেথি ও করলা খাবেন। আমলকি খাবেন, জাম খাবেন। আর যাদের ডায়বেটিস আছে তারা রাতের বেলা মেথি ভিজিয়ে রাখবেন আর সকালবেলা মেথি ভেজানো পানি খাবেন। ডায়াবেটিস রোগীরা আরো চমৎকার জিনিস খেতে পারেন- করলা, প্রতিদিন সকালবেলা এক গ্লাস করলার জুস! ইটস এ ওয়ান্ডারফুল! করলার জুস!
কমলা-মাল্টার চেয়ে জাম্বুরা অনেক অনেক উপকারি। যাদের খুব বেশি ঠান্ডা লাগে, তারা এই যে সামনে জাম্বুরা আসছে, আগস্ট মাস থেকে জাম্বুরা পাওয়া যাবে, প্রত্যেকদিন জাম্বুরা খাবেন। এখন আনারসের সিজন, আনারস খাবেন। ফল জুসের চেয়ে চিবিয়ে খাওয়াটা অনেক অনেক বেশি উপকারি। অর্থাৎ যে মৌসুমে যে ফল পাওয়া যায়, সেই মৌসুমের ফল খাবেন। কিন্তু প্যাকেটজাত ফলের জুস বলে যা পাওয়া যায়, এগুলো নিজেরা খাবেন না, বাচ্চাকেও খাওয়াবেন না। প্যাকেটজাত জুস বলে, টিনজাত জুস বলে যা পাওয়া যায়, এগুলো সতর্কভাবে বর্জন করবেন। আর জুস যদি করতে হয় তো ফ্রেশ ফলের জুস করে খান। তবে জুসের চেয়ে ফল চিবিয়ে খাওয়াটা অনেক অনেক বেশি উপকারী।
ক্যান্সারসহ অন্যান্য জটিল রোগ থেকে বাঁচার একটা বড় পথ হচ্ছে- চিনি না খাওয়া। এটা হচ্ছে হোয়াইট পয়জন বা সাদা বিষ। আর দুধ চা, এটা পেটের জন্যে ক্ষতিকর। মোড়কজাত, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বা ফাস্ট ফুড টেস্টি হওয়ার পেছনে অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে এতে ফ্যাট বা চর্বি ব্যবহার করা হয়। এসব খাবারে টেস্টিং সল্ট, রং, ফ্লেভার, তেল, চিনি ব্যবহার করা হয় বেশি। এগুলো যত বেশি খাবেন। তত আপনার ওজন বাড়বে, তত আপনি স্থুলকায় হবেন এবং তত আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে।
শুধু চিনি নয়, চিনি দিয়ে বানানো সকল খাদ্য পরিহার করবেন। প্রয়োজনে আখ বা খেজুরের গুড় অথবা খেজুর দিয়ে মিষ্টি জাতীয় খাবার ঘরেই তৈরী করে নিন। যেমন- গাজর আর খেজুর দিয়ে বানাতে পারেন সন্দেশ। যেখানে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যগুণ আছে। বর্তমানে বাজারে গাজর এমনটিতেই বেশ সহজলভ্য একটি সবজি। পুষ্টিগুণের বিচারে এটা বেশ স্বাস্থ্যসম্মতও বটে। গাজরের হালুয়ার স্বাদই আলাদা। যে একবার খাবে তার মুখে লেগে থাকবে। আরও রয়েছে- সন্দেশ, বরফিসহ স্বাস্থ্যসম্মত বিভিন্ন খাবার। যা একদিকে যেমন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন, আবার সেটা চিনিমুক্ত খেজুরের গুড় দিয়ে বানানো মজাদার খাবার। বাচ্চাদের স্কুলের জন্যও যা হতে পারে চমৎকার টিফিন। তাছাড়া গাজরে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ সহ নানা উপকারী পুষ্টিগুণ, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
গত কয়েক দশকে বিজ্ঞানী আর ডাক্তারদের গবেষণায় দেখা গেছে, চিনি জনস্বাস্থ্যের এক নম্বর শত্রু। এখন উন্নত দেশের স্কুল আর হাসপাতালগুলোও তাদের খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দিয়ে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার থেকে চিনি সম্পূর্ণ বাদ না দিলে দেখা দিবে ক্যান্সারসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
আমরা জানি, যারা বেশি মিষ্টি খায় তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা রকম বিষক্রিয়া। এছাড়াও সব ধরনের বিপাকজনিত রোগ, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের আধিক্য, ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিস, মেদস্থূলতা ও বার্ধক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হওয়ার সঙ্গে চিনির সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছেন তারা। এসব কারণেই বিশ্বজুড়ে এখন চিনির আরেক নাম ‘হোয়াইট পয়জন’।
সফট ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস, এলকোহল- এটা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদিকে যেরকম কমায়, আপনার ডায়াবেটিস এবং কিডনি বিনাশের কারণ হয়। সফট ড্রিংকস সবচেয়ে বেশি টেস্টি হয়, যখন এটা চিলড অবস্থায় থাকে। ঠাণ্ডা! যত ঠাণ্ডা তত স্বাদ। আর পানি সবচেয়ে ঠাণ্ডা এবং ঘন হয়, যখন এটার তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে পৌঁছায়। চার ডিগ্রির নিচে চলে গেলে দ্রুত এটা বরফ হয়ে যায়, জমে যায়। এখন একটা সফট ড্রিংকস যদি জমে যায়, কতক্ষণে এটা গলবে কতক্ষণে আপনি খাবেন! আপনার ধৈর্য থাকবে না। অতএব এই সফট ড্রিংকস যাতে বরফ না হতে পারে, জমতে না পারে এইজন্যে সফট ড্রিংকস কোম্পানিগুলো একটা এন্টিফ্রিজার কেমিকেল ব্যবহার করে- ইথিলিন গ্লাইকল। এই ইথিলিন গ্লাইকল সফট ড্রিংকসের তাপমাত্রা চার ডিগ্রিতে নিয়ে স্থির রাখে, আর নামতে দেয় না। এই ইথিলিন গ্লাইকল, এটা হচ্ছে কিডনির জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর, অত্যন্ত ক্ষতিকর।
কিডনি বিশেষজ্ঞ মরহুম ডা. ব্রিগেডিয়ার সিরাজ জিন্নাত একবার তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে বলেন, আমাদের দেশে আজকে যে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কিডনির প্রবলেম, ইউরিনারি প্রবলেম, ডায়াবেটিস হচ্ছে- এর প্রধান কারণ হচ্ছে- এই সফট ড্রিংকস। এসব কোমল পানীয়ের বদলে প্রতিদিন ডাব খাবেন। কচি ডাবের পানি এবং রক্তের যে ফ্লুইড, তরল অংশ- একই উপাদানে তৈরি। যার ফলে কখনো যদি স্যালাইন পাওয়া না যায়, ডাক্তাররা কচি ডাবের পানি সরাসরি আপনার ভেইনে প্রবেশ করিয়ে দেন। অতএব বেশি বেশি ডাব খাবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন খাবারে এক কোষ রসুন, ২০/৩০/৪০টা কালোজিরা, একচামচ মধু, একগ্লাস দুধ, একটা কলা এবং একটা ডিম, দুটি খেজুর অবশ্যই রাখবেন। প্রতিদিন খাবারে অবশ্যই রাখবেন সবুজ সালাদ। অর্থাৎ যে সবজিগুলো কাঁচা খাওয়া যায় সেটাই সালাদ। প্রতিদিন ঘরে বানানো দই খাবেন। চিনি ছাড়া, টক দই যেটাকে ইয়োগার্ট বলে, টক দই খাবেন। চীনা বানাম হৃদরোগ প্রতিরোধী এবং টেস্টিসের ক্যান্সার প্রতিরোধক। পুরুষদের একটা বয়সের পরে টেস্টিসে ক্যান্সার হতে চায়, এটার প্রতিরোধক হচ্ছে চীনা বাদাম। যত ধরনের বাদাম আছে খাবেন, বিন খাবেন। সয়াবিন থেকে শুরু করে যতরকম বিন আছে খাবেন। চাল যেরকম কার্বহাইড্রেট, আলুও তেমন কার্বহাইড্রেট। তাই ভাতের বদলে আলু খাবেন, মিষ্টি আলু খাবেন। কারণ, আলুতে ভাতের চেয়েও প্রোটিন বেশি থাকে।
সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল, ঢেঁকিছাটা চাল এবং পুরো খোসাসহ চাল খাওয়ার অভ্যাস যদি আমরা করতে পারি, আমাদের সুস্বাস্থ্যের পরিমাণ, সুস্থ থাকার পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে। সব ধরনের ডাল খাবেন। শুধু ভাত না খেয়ে সবজি খিচুড়ি খাবেন এবং শাক-সবজি আধা সিদ্ধ খাবেন। বেশি সিদ্ধ শাক-সবজি হজম হতে বেশি সময় নেয়। অনেকের একটা ভুল ধারণা আছে যে, শাক-সবজি যত সিদ্ধ করা হবে হজম তত দ্রুত হবে। আসলে শাক-সবজি যদি বেশি সিদ্ধ করা হয় তাহলে হজম হতে দেরি হয়!
কারণ, প্রত্যেকটা শাক-সবজির সাথে এনজাইম থাকে যেটা হজম করে, প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে শাক-সবজিতে। যখন আপনি বেশি সিদ্ধ করছেন, তখন এই প্রাকৃতিক এনজাইমটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তখন এটা হজম করার জন্যে স্টমাককে আবার নতুন করে এনজাইম তৈরি করতে হয়। দুই দিন নিরামিষ, দুই দিন ছোট মাছ, দুই দিন বড় মাছ ও একদিন মাংস। সবসময় সুষম খাবার খাবেন। অর্থাৎ খাবারের মধ্যে ব্যালেন্স করা। মাছের ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছ যত খাবেন তত ভালো। মাংসের ক্ষেত্রে সবসময় মনে রাখবেন–যত পা তত কোলেস্টেরল। আপনি দেখেন, চিংড়ি-কাঁকড়ার অনেক পা। কোলেস্টেরল সবচেয়ে বেশি। তারপরে খাসি, গরু, পাঠা চার পা।
অন্যদিকে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিক ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আর গরম পানিতে গোসল করতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আবার প্রতিদিন গরম পানি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের আলোচিত বিজ্ঞানী ও গবেষক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, এই সময় যদি মেডিটেশন বা ধ্যান করা যায়, তাহলে অনেকটা মানসিক স্বস্তি লাভ করা সম্ভব। মেডিটেশন বা ধ্যান করলে মনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং দুশ্চিন্তা কমে যায়। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আমাদের দেশে অনেকে মেডিটেশন বা ধ্যান করেন, এটা ধর্মীয় কোনো চর্চা নয়, এটা মন ও দেহকে সুস্থ রাখার জন্য। আমি আমার দেহকে সুস্থ রাখার জন্য যদি দৈনিক দশ-বিশ মিনিট চোখ বুজে বসে থাকি এবং আমার মানসিক চাপকে কমাতে পারি- তাহলে তো এটা নিঃসন্দেহে খুবই উপকারী।
বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, সুস্থতাই বড় সম্পদ। তাই আপনি সুস্থ থাকার জন্য বিজ্ঞান সম্মত খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপনের পদ্ধতি তৈরী করে নিন। সুস্থ থাকতে রেগে যাওয়া, উৎকণ্ঠা, উদ্বিগ্ন না হয়ে সঠিক জীবনদৃষ্টি ঠিক করে নিন। তাহলেই সুস্থ থাকতে পারবেন আর বলুন- সুস্থ দেহ সুস্থ মন, কর্মব্যস্ত সুখি জীবন।
পরিশেষে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটাকে অটুট রাখার জন্যে দুটি কাজ করতে হবে। যে খাবারগুলো, যে পানীয়গুলো এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়– এটাকে বর্জন করতে হবে এবং যে খাবারগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যে ফলগুলো সহজলভ্য, সে ফলগুলো খেতে হবে। শাক-সবজি, খাবার সেইভাবে খেতে হবে। তাহলে আমরা খুব সহজভাবে বলতে পারি যে- বিন্দু বিন্দু ছোট ছোট যত্ন স্বাস্থ্য গড়ে তোলে। আর বিন্দু বিন্দু অবহেলা-অযত্ন, অনাচার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়, আপনার স্বাস্থ্য নষ্ট করে দেয়।