শরিফা বা আতা ফল নামে পরিচিত মৌসুমি মিষ্টি ও সুস্বাদু এই ফলটি আমাদের দেশে পাওয়া যায় খুবই অল্প সময়ের জন্য।
দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম ভারতসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে সহজলভ্য এই ফলটি তার ভিন্নধর্মী স্বাদ ও টেক্সচারের জন্য জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে অনেক বেশি।
শুধু স্বাদের দিক থেকেই নয়, আতা এগিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকেও। জেনে নিন আতার দারুণ আটটি উপকারিতা।
ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
সবসময় ওজন কমানোর জন্য উপকারী খাদ্য উপাদানের কথা বলা হয়। তবে এবারে জেনে রাখুন ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখা আতা ফলের কথা। আতা ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে কারণে এই মিশ্রণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যকর ক্যালোরি।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমায়
আতাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি৬। যা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে ও শ্বাসকষ্টের প্রকোপ কমাতে কাজ করে।
খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে
এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কপার ও দ্রবণীয় আঁশ, যা খাদ্য পরিপাক, বাওয়েল মুভমেন্ট এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে কাজ করে।
ডায়বেটিস রোগীর জন্য উপকারী
ডায়বেটিস রোগীদের জন্য আতা খুবই উপকারী ফল হিসেবে বিবেচিত। এতে থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ রক্তে চিনি শোষণের গতি স্লথ করে দেয় এবং টাইপ-২ ডায়বেটিস প্রতিরোধে কাজ করে।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কাজ করে
ম্যাগনেসিয়াম হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে এবং হৃদযন্ত্রের পেশীকে শিথিল করে। এছাড়া আতাতে থাকা ভিটামিন-বি৬ হোমোসিস্টেইন সংগ্রহের মাত্রা কমিয়ে আনে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ
আতাতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণের মাপকাঠিতে রাখতে কাজ করে। যাদের ঘনঘন রক্তচাপের মাত্রা ওঠানামা করে, তাদের প্রতিদিন একটি মাঝারি বা ছোট আকৃতির আতা খাওয়া প্রয়োজন।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
উপরেই উল্লেখ করা হয়েছে আতাতে প্রচুর পরিমাণ দ্রবণীয় আঁশ রয়েছে। এই আঁশ ও আতাতে থাকা নায়াসিন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে উপকারী।
রক্তস্বল্পতা কমায়
আয়রন সমৃদ্ধ আতা ফল রক্ত স্বল্পতার ক্ষেত্রে রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধিতে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।