গ্রিন টি এর উপকারিতা:
গ্রিন টি চীনা সংস্কৃতিতে “জীবনের ঔষধি” নামে পরিচিত। গ্রিন টি কেবল একটি পানীয় নয়, এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর পানীয়। নিয়মিত গ্রিন টি পান আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিস্ময়কর উপকারি প্রভাব ফেলবে।
গ্রিন টি কিভাবে কিডনির ক্রিয়েটিনিন কমায়?
গ্রিন টি পানের ন্যাচারোপ্যাথি নিয়ম: ৭/৮ টি চায়ের পাতা দেড় কাপ পরিমাণ পানিতে দিয়ে অনেকক্ষণ জ্বাল দিবেন। পানি কমে এক কাপ পরিমান হলে চায়ের মতো ছেঁকে নিয়ে পান করবেন। এই নিয়মে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গ্রিন টি পান করলে কিডনির ক্রিয়েটিনিন লেভেল কমবে, প্রশ্রাবের দুর্গন্ধ হ্রাস পাবে এবং প্রশ্রাবের গতি বৃদ্ধি পাবে। সকালে খালি পেটে এই নিয়মে গ্রিনটি পান করার অন্তত আধাঘন্টা পরে সকালের নাস্তা করবেন।
গ্রিন টি পান করার অন্যান্য উপকারিতা:
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে থাকা ‘এপিগ্যালোক্যাটেচিন গ্যালেট’ (EGCG) নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: গ্রিন টিতে থাকা ‘ক্যাটেচিন’ নামক উপাদান চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে এবং বিপাক হার বৃদ্ধি করে। নিয়মিত গ্রিন টি পান ওজন কমাতে এবং স্থূলতা রোধ করতে সহায়তা করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো: গ্রিন টি ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে এবং ‘ভালো’ কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: গ্রিন টি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং টাইপ টু (2) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করা: গ্রিন টি মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং একাগ্রতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি আলঝেইমার এবং পার্কিনসনের মতো নিউরোজনিত রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই: গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি কার্যকর।
- ত্বকের যত্ন: গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং ব্রণ ও টানটান ভাব কমাতেও সাহায্য করে।
- হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করা: গ্রিন টি হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ‘ফ্ল্যাভোনয়েড’ নামক উপাদান হাড়ের গঠনে সহায়তা করে।
গ্রিন টি এর উপাদান:
- গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীর চাঙা রাখে।
- কফির তুলনায় গ্রিন টিতে ক্যাফেইন কম থাকে; বেশি ক্যাফেইন পানি শূন্যতা তৈরী করে। তাই গ্রিন টি পান করলে পানি শূন্যতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
- এছাড়াও গ্রিন টিতে আছে ভিটামিন এ, বি, বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ ও সামান্য ক্যাফেইন।
প্রিমিয়াম গ্রিন টি কোথায় পাবেন?
- প্রকৃতি’র ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে অর্ডার করে নিতে পারবেন।
- অথবা সরাসরি প্রকৃতি – প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র অফিসে এসে সংগ্রহ করতে পারেন।
- অফিস: ২৯, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ (৩য় তলা), গুলিস্তান, ঢাকা।
- প্রয়োজনে: 01710-935544 (10 AM to 7 PM)