
Antibiotic নিয়ে সর্তক থাকুন
ছোট ছোট কারণে এন্টিবায়টিক সেবনে শরীরে নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যা কখনও কখনও ডায়রিয়া হয়ে শরীরে বিক্রিয়া তৈরি করে মৃত্যুও ঘটাতে পারে। তাই এন্টিবায়টিকে সর্তক থাকুন।
ছোট ছোট কারণে এন্টিবায়টিক সেবনে শরীরে নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যা কখনও কখনও ডায়রিয়া হয়ে শরীরে বিক্রিয়া তৈরি করে মৃত্যুও ঘটাতে পারে। তাই এন্টিবায়টিকে সর্তক থাকুন।
লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে আমলকি আর মধু মিশিয়ে খান। এছাড়া আরও কিছু উপকার পাবেন। খেতে নিন, নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পেয়ারার পাতা ডায়াবেটিস কমাতে কাজ করে।
পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, লাইকোপেন। তবে আপনি কি জানেন পেয়ারার পাতায়ও রয়েছে অনেক গুণ? স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্ট জানিয়েছে পেয়ারার পাতার কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্যকর গুণের কথা।
১. পেয়ারা পাতার চা নিয়মিত খেলে রক্তের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। এটি ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে কাজ করে।
২. পেয়ারা পাতার চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য এটি ডায়রিয়া ও ডিসেনট্রি কমাতে কাজ করে।
৩. কফ ও ব্রঙ্কাইটিস কমাতেও পেয়ার পাতার চা বেশ কার্যকর।
৪. পেয়ারা পাতার চা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি চর্বি কমাতে কাজ করে এবং পেট ভরা ভরা ভাব রাখে। এতে ওজন কমে।
৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত পেয়ারার পাতার চা পান করা ভালো। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কাজ করে।
৬. পেয়ারা পাতার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য এটি পাকস্থলীর সমস্যারোধে ভালো কাজ করে। এটি ফুড পয়জনিং রোধেও উপকারী।
৭. পেয়ারার পাতা পানিতে ফুটান। একে ঠান্ডা হতে দিন। এরপর পানিটি মাথায় ম্যাসাজ করুন। চুল পড়া প্রতিরোধ হবে।
সকালের নাশতায় ডিম একটি চমৎকার খাবার। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রোটিন, ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বিতে ভরপুর।
সাধারণত সকালের নাশতায় ডিম সেদ্ধ, অর্ধ সেদ্ধ বা ওমলেট করে খাওয়া হয়ে থাকে। যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, ডিম শরীরের জন্য ভালো। একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যতালিকা মেনে চলতে গেলে এটি কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
ডিম তো স্বাস্থ্যকর। তবে প্রশ্ন হলো, ডিমের কোন অংশটি বেশি স্বাস্থ্যকর—সাদা নাকি হলুদ অংশ?
ক্যালরি
ডিমের সাদা অংশ ও কুসুমের মধ্যে ক্যালরির বেশ তারতম্য রয়েছে। একটি বড় ডিমের কুসুমে প্রায় ৫৫ ক্যালরি থাকে, যেখানে সাদা অংশে থাকে ১৭ ক্যালরি।
কুসুম
ডিমের কুসুমের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ডায়াটারি কোলেস্টেরল থাকার কারণে এটি অনেকেই এড়িয়ে যান। এগুলো দেহের কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে। তবে ডিমের কুসুমের মধ্যে রয়েছে বেশি পুষ্টি, এ সত্যটিকে কিন্তু কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
ডিমের কুসুমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি৬, বি১২, এ, ডি, ই ও কে। এ ছাড়া আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও স্যালেনিয়াম।
ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকা ক্যারোটিনয়েড দৃষ্টিশক্তি ভালো করে। এটি রেটিনাকেও সুরক্ষিত রাখে। ডিমের কুসুমের মধ্যে ওয়াটার সলিউবল (পানিতে দ্রবণীয়) একটি ভিটামিন রয়েছে। আর এর নাম কোলিন। এটি শরীরের কার্ডিওভাসকুলার কার্যক্রমকে ভালো রাখে।
ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশ মূলত অ্যালবুমিন। এর মধ্যে কম ক্যালরি থাকার কারণে এবং এটি ফ্যাট ফ্রি হওয়ার কারণে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এ অংশটি খেতে পছন্দ করে। এটি শরীরকে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন দেয়। এটি পেশি বাড়াতেও সহায়তা করে। এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম মিনারেল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা রিবোফ্ল্যাভিন চোখের ছানি ও মাইগ্রেনের কারণে হওয়া মাথাব্যথা প্রতিরোধে উপকারী।
কোনটি বেশি উপকারী?
ডিমের মধ্যে থাকা ৯৩ ভাগ আয়রনই রয়েছে কুসুমে। আর সাত ভাগ আয়রন রয়েছে সাদা অংশে। ৯০ ভাগ ক্যালসিয়াম রয়েছে কুসুমে। আসলে দুটো অংশই উপকারী। তবে পুষ্টির কথা বিবেচনায় আনা হলে ডিমের কুসুম কিন্তু বেশি উপাকারী। তাই ডিমের কুসুম ফেলে দেওয়ার আগে আরেকবার ভাবুন। সব ধরনের পুষ্টি পেতে চাইলে সম্পূর্ণ ডিমটিই খান।
আর যাঁরা কোলেস্টেরল নিয়ে ভাবছেন বা এর ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাঁরা পরিমিতভাবে কুসুম খেতে পারেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
হলুদ ও মধু শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে রয়েছে শক্তশালী প্রদাহরোধী উপাদান। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলুদ ও মধু একত্রে খাওয়ার উপায় জানানো হচ্ছে ।
প্রণালি
এক টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ার মধ্যে ১০০ গ্রাম কাঁচা মধু মেশান। ঠাণ্ডা বা ফ্লু বা কাশির সমস্যা দেখা দিলে মিশ্রণটি খেতে পারেন। প্রথম দিন, প্রতি ঘণ্টায় মিশ্রণটি আধা চা চামচ করে খান। দ্বিতীয় দিন, দুই ঘণ্টা পর পর আধা চা চামচ করে মিশ্রণটি খান। তৃতীয় দিনে, মিশ্রণটি আধা টেবিল চামচ করে তিন বেলা খান।
হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে। আর কাঁচা মধুর রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত উপকার। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে খেয়ে দেখতে পারেন মিশ্রণটি।
তবে খাবার আগে অবশ্যই আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে খান এবং খাওয়ার পরে শরীরে কোনো ধরনের অস্বস্তি হলে অবশ্যই খাওয়া বন্ধ করে দিন।