প্রতিটি মানুষ ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে খাদ্যপথ্য জ্ঞান দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, কথায় কথায় পেইন কিলার, অ্যান্টিবায়টিক বন্ধ করতে হবে।
তাতে রোগ হওয়ার প্রবণতা কমবে।
মানুষ না বুঝে অনেক ঔষধ (ড্রাগ) খেয়ে থাকেন, মানুষের মনে ঔষধ খাওয়ানোর নেশা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে, মানুষ মনে করে যে, ঔষধ খেলেই সেড়ে উঠবেন কিন্তু তিনি যে ড্রাগ মাফিয়াদের ক্রেতা হয়ে গেলেন সেটা বুঝে উঠতে পারেন না।
ড্রাগ মাফিয়ারা আপনাকে পেটের গ্যাসের জন্য ড্রাগ দিবে কিন্তু বলবে যে, আপনি কি খেলে আপনার পেটের সমস্যা হচ্ছে। সেটা বলে দিলে মানুষ সুস্থ থাকতো কিন্তু তারা ড্রাগ দিবে কিছুদিন যাওয়ার পরে ঔষধ সেবনের জন্য হজমকারী সকল প্রোবায়টিক ঘাটতি দেখো দিবে, তারপর আর হজম হবে না, আলসার, আইবিএস, কোলাইটিস, পাইলস, এ্যানাল ফিশার এর মত হাজারো রোগ দেখা দিবে।
এই টেস্ট, সেই টেস্ট নানা টেস্টেই মানুষ মারা যাবে, আর বলা হবে এমন রোগ হয়ে ছিল যে ধরতে পারেনি। (কঠিন রোগের অর্থে) ।
আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোটাই মাফিয়া নির্ভর, জনসেবা মূলক নয়। যার কারণে দামী দামী ফাইভষ্টার হাসপাতাল আছে। টাকা থাকলেই সেখানে আপনি থাকতে পারবেন নয়তো সরকারি হাসপাতালের বারান্দা !
আমাদের যত মানুষ হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসে তার বেশির ভাগই পেটের সমস্যা সংক্রান্ত, যা খাদ্যভাস পরিবর্তন করে ঠিক করা সম্ভব। সেই জ্ঞানটা দিলেই তিনি নিজে নিজে সুস্থ হয়ে উঠবে।
রোগ বলতে প্রথমে কিছু থাকে না, থাকে পুষ্টির অভাব, না বুঝে খাওয়া, সেটা পূরণ করলেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। সেই জন্য কোন ড্রাগের প্রয়োজন নেই। ড্রাগ শুরু হওয়া মাত্রই তিনি অসুস্থ হওয়া শুরু ।
নতুন সরকারের কাছে আবেদন যে, হাসপাতাল নয়, ড্রাগ নয়, মানুষকে সুস্থ থাকার জন্য সুস্থতার জ্ঞান দান জরুরি। এতে হাসপাতালে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমবে।