দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের রান্নায় অন্যতম আলোচিত মসলা-উপাদান চুইঝাল; যদিও এর ফলন বেশি হয় পঞ্চগড়ের ঠাকুরগাঁওয়ে। কিন্তু খুলনা অঞ্চলের মানুষ এটাকে ট্র্যাডিশন হিসেবে গণ্য করে থাকে। এই চুইঝালের রয়েছে অনেক খাদ্যগুণ। বিশেষ করে কিছু বিরল উপাদান রয়েছে, যা মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ অবদান রাখতে পারে। খুলনা অঞ্চলে চুইঝালের কাণ্ড, শিকড় বা লতা ছোট ছোট টুকরা করে মসলা হিসেবে গরুর মাংস বা খাসির মাংস রান্নায় ব্যবহার করা হয়, যা এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এবং খুবই জনপ্রিয় একটি পদ।
বিচ্ছিন্ন যৌগগুলোর মধ্যে রয়েছে চ্যাবামাইডস, পিপারিন, পিপ্লারটাইন, রেট্রোফ্র্যাক্টামাইডস এ/বি, মিথাইলেনডিওক্সিফেনাইল-নোনা-২ই, ৪ই, ৮ই-ট্রাইনোইক অ্যাসিড, এন-বুটাইল বা এন-পেন্টাইল অ্যামাইন, পাইপারলংগুমিনিন, পাইপরোনালাইন, ডিহাইড্রোপিপারিন, এন-বিউটিন ২ই ও ৪ই, অক্টাডেক্যাডিয়েনামাইড আর এন-আইসোবিউটাইল ইকোস্যাট্রিয়েনামাইড। বিভিন্ন পরীক্ষাপদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক উপাদান থাকায় স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে এর প্রভাব নথিভুক্ত করেছে।
সঠিক উপায়ে রান্নায় মেলে উপকারিতা
ক্যানসার প্রতিরোধ
চুইঝালের ভেষজ উপাদানের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আইসোফ্লাভোন ও অ্যালকালয়েড নামের ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ক্যানসার প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ক্যানসার হওয়ার আগে শরীরে যে টিউমার হয়ে থাকে, সেই টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে পারে। চুইঝালে গুরুত্বপূর্ণ যৌগ হলো সেসামিন, যা টিউমারের বিকাশ ও অগ্রগতি কমানোর জন্য একটি কার্যকর সহায়ক থেরাপিউটিক এজেন্ট হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
হৃদ্রোগ প্রতিরোধে
প্রসূতির ব্যথা কমাতে
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ভেষজ উপকরণ আদিতে যেভাবে ছিল, নানা কারণে তার কিছু রূপান্তর ঘটেছে। তবে চুইঝালে এখনো তেমন কিছু ঘটেনি। ফলে মাঝেমধ্যে চুইঝাল দিয়ে মাংস রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।
অবশ্য কম লবণ ও মসলা ব্যবহার করে সঠিক উপায়ে রান্না করলে এর ঔষধি গুণ লাভ করা যাবে।
হাল ফ্যাশন থেকে পড়ুন: https://www.haal.fashion/lifestyle/well-being/dlf9abpqfe