ন্যাচারোপ্যাথি, সবজি

মুলার উপকারিতা

শীতকালীন সবজি মুলা। অন্যান্য সবজির তুলনায় কদর কম থাকলেও এর উপকারিতা কিন্তু কম নয়। বরং নানারকম অসুখ-বিসুখ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে এই সবজিটি। অনেকেই মুলা খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এই উপকারিতাগুলো জানলে আর অপছন্দ করতে পারবেন না-

ভাত কিংবা রুটি খাওয়ার সময় কাঁচা মুলা খেলে তাড়াতাড়ি হজম হয় ও রুচি বাড়ে। কচি মূলার সালাদ ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যারা জ্বরে ভুগছেন ও মুখের রুচি নেই, তারা মূলা কুচি কুচি করে কেটে চিবিয়ে খান। জ্বর কমবে, মুখের রুচিও বাড়বে।

পাইলসে মূলা অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত মূলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, ফলে পাইলস রোগে আরাম হয়। যাদের পাইলসের কারণে রক্ত পড়ে তারা টানা দু সপ্তাহ মুলা খেলে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।

রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে মুলা। সেই সাথে লিভার এবং পাকস্থলীর সমস্ত দুষণ এবং বর্জ্য পরিস্কার করে থাকে। মুলা কিডনি রোগসহ মূত্রনালির অন্যান্য রোগে উপকারী।

শ্বেত রোগীদের চিকিৎসায় এন্টি কারসেনোজিনিক উপাদান সমৃদ্ধ মুলার বীজ আদার রস এবং ভিনেগারে ভিজিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। অথবা কাঁচা মুলা চিবিয়ে খেলেও কাজ হবে।

যেসব মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তারা নিয়মিত মুলা খেলে বুকের দুধ বাড়বে।

ত্বক পরিচর্যায়ও মুলা ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। কাঁচা মুলার পাতলা টুকরা ত্বকে লাগিয়ে রাখলে ব্রণ নিরাময় হয়। এছাড়া কাঁচা মুলা ফেস প্যাক এবং ক্লিনজার হিসেবেও দারুণ উপকারী।

মুলা জন্ডিসের চিকিৎসায় ভীষণ কার্যকরী। কারণ এটি রক্তে বিলিরুবিন নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়।

মুলা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি উপাদানে সমৃদ্ধ। এই উপাদান শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসায় কার্যকরী। বিশেষ করে কোলন, কিডনি, ক্ষুদ্রান্ত্র, পেট এবং মুখের ক্যান্সারে খুবই কাজ দেয়।

গুরুপাক খাবারের ফলে যাদের পেটে ব্যথা ও গ্যাস জমা হয়, তারা মূলার রসের সাথে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *