বিশ্ব স্বাস্থ্য

“দুগ্ধ পনির মধ্যে প্রজনন হরমোন রয়েছে যা স্তন ক্যান্সারের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।”

FDA কে ১২,০০০ ডক্টর দাবী জানিয়েছে রূপান্তরিত পনিরের গাঁয়ে সাবধানতার লেবেল দিতে।

পনির পণ্যগুলিতে স্বাস্থ্য সতর্কতা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকরা FDA র কাছে আবেদন করছেন। গবেষণাগুলি বলছে যে, দুগ্ধ সেবনের কারণে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকির সাথে মৃত্যু ঝুঁকি যুক্ত হয়েছে। যা দিনে দিনে ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।

তাই আমেরিকার চিকিৎসকদের কমিটি ফর রেসপন্সিবল মেডিসিন (PCRM) মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনকে (FDA) পনিরের উপরে স্তন ক্যান্সারের সতর্কতার লেবেল দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে।

১২,০০০ চিকিৎসা পেশাদার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত, PCRM চায় পণ্যগুলিতে সিগারেটের প্যাকেটের মতো সতর্কতা লেবেল দিয়ে রাখে। সেই্ রকম লেবেল যেন পনিরের গাঁয়ে লাগানো থাকে, এটি আবেদনের সাথে একটি উদাহরণ দিয়েছে যে, পনিরের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকুক : “দুগ্ধ পনির মধ্যে প্রজনন হরমোন রয়েছে যা স্তন ক্যান্সারের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।”

রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলির মতে মহিলাদের মধ্যে মৃত্যু সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে স্তন ক্যান্সার অন্যতম। PCRM স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাসের শুরুতে ৩ অক্টোবর তার আবেদন জমা দেয়।

“ক্রাফ্টের মতো পনির প্রস্তুতকারকরা ফিলাডেলফিয়া ক্রিম চিজ এবং ম্যাকারনি ও পিজের মতো পণ্যগুলিতে গোলাপী ফিতা চাপড়ানোর পরিবর্তে, (তারা বলতে চায় এতে নারীর স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা নেই) যেমন তারা স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাসের আগে করেছিলেন, তাদের সতর্কতা লেবেল যুক্ত করা উচিত, PCRM সভাপতি নীল বার্নার্ড একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা চাই নারীরা সচেতন হন যে দুগ্ধ পনির তাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।”

দুগ্ধ এবং স্তন ক্যান্সার
গরুর দুগ্ধে ইস্ট্রোজেন থাকে। দুধ যখন পনিরে রূপান্তরিত হয় তখন ইস্ট্রোজেনগুলি আরও ঘন হয়। PCRM বলছে, “যদিও এগুলি কেবলমাত্র চিহ্নস্বরূপ, বস্তুত ইস্ট্রোজেনগুলি মানবদেহে জৈবিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠে,তাতে নারীর স্তন ক্যান্সারের মৃত্যুর হার বাড়িয়ে তোলে”

এটি একটি গবেষণাকে বোঝায় – যা লাইফ আফটার ক্যান্সার এপিডেমিওলজি স্টাডি হিসাবে পরিচিত – যা প্রমাণ করে যে মহিলাদের মধ্যে আগে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে, যেগুলি প্রতিদিন উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারগুলির এক বা একাধিক প্রক্রিয়ায় গ্রহন করেছেন তাদের স্তন ক্যান্সারের মৃত্যু হার ছিল ৪৯ শতাংশ, সেই তুলনায় যারা প্রতিদিন এক-অর্ধেকেরও কম দুগ্ধ পনির কম খেয়েছেন কিংবা বর্জন করেছেন করছেন তাদের স্তন ক্যান্সারের মৃত্যু ঝুঁকি কম।

বিশ্বখ্যাত স্তন সার্জন ডাঃ ক্রিস্টি ফানক স্তন ক্যান্সার এবং পশু থেকে উৎপাদিত দুগ্ধ পণ্যগুলির মধ্যে যোগসূত্র সম্পর্কে কথা বলেছেন।

তিনি গত বছর লাইভাকিন্ডলিকে বলেছিলেন, “প্রাণীর প্রোটিন এবং প্রাণীর ফ্যাট গ্রহণের বিষয়ে শরীরের সেলুলার প্রতিক্রিয়া হ’ল স্বাস্থ্যের স্বাভাবিক ক্রিয়া দমিয়ে রাখা, ইউমিনিট দূর্বল করে দেওয়া এবং দুগ্ধ পণ্য গ্রহনের সময় অসুস্থতা খাওয়ায় এবং শরীরে জ্বালানি প্রবাহ বৃদ্ধি করে সমস্ত অর্গানগুলোকে দুগ্ধপণ্য পাচনে ব্যস্ত করে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানীয় চুষে নেয়, তিনি আরও যোগ করেছেন, “ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি, বৃদ্ধি হরমোনস স্ক্রাইকেট, প্রদাহ প্রসারণ, মুক্ত র‌্যাডিকালগুলি চালায় কোষকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং DNA কে পরিবর্তিত করে দেয় যা একজন ক্যান্সারের রোগী দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঝুকতে থাকে।”

লেটস বিট ব্রেস্ট ক্যান্সার শিরোনামে একটি নতুন Vegan প্রচারে বেশ কিছু সেলিব্রিটি – পাশাপাশি ফানক PCRM র সাথে কাজ করছে। এটি মানুষকে আরও বেশি উদ্ভিদ-ভিত্তিক (শাক সবজি, ফলমূল) খাবার খাওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করতে, নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করতে, অ্যালকোহল গ্রহণ সীমাবদ্ধ করতে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে উৎসাহ দেয়ার উপর জোর দিয়েছে।

তারা এর কাছে জোড়ালো দাবী করেছে যেভাবে সিগারেটের গাঁয়ে স্বাস্থ্য ক্ষতির কথা উল্লেখ থাকে সেভাবেই যেন পনিরের গায়ে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা লেবেলে দেওয়া হয়।

সেই সাথে জোড়ালো দাবী করা হয়েছে নারীদের সচেতন হওয়ার জন্য তারা যেন পনির বর্জন করে, আমেরিকার সহ পৃথিবীর সব দেশেই পিজা, বার্গার সহ পরিচিত ফাষ্টফুডগুলোতে পনিরের উপস্থিতি অনেক অনেক বেশি। তাই সেই খাদ্য বর্জন করতে। যেহেতু নারীর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার দরুন এখন আমেরিকায়ই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের অপারেশন করার সার্জনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে সেহেতু চিকিৎসকরাই এখন জোড় দাবী জানাচ্ছে রোগ হয়ে চিকিৎসা করানোর চেয়ে রোগ না হওয়ার সচেতনতা বেশি সাশ্রয়।

এই চিত্র আমেরিকার, যেখানে জীবনমান, সচেতনতা, চিকিৎসা, খাদ্য বিশুদ্ধতা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে, তাদের ডাক্তারদের আহ্বান তাদের নারীদের প্রতি প্রভাব পড়বে। কিন্তু বাংলাদেশে কোন দিনও ডাক্তাররা বলবে না, ‘আপনি পনির সহ দুগ্ধজাতীয় খাদ্য বর্জন করে নিজের ইস্ট্রোজেন ভাল রাখুন, স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।’ সেহেতু এখনই সময় দুধ ও পনির জাতীয় খাবার বর্জন করে নিজের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকুন।

আলমগীর আলম
প্রতিষ্ঠাতা: প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
২৯ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, (তৃতীয় তলা)
ঢাকা।

1 thoughts on ““দুগ্ধ পনির মধ্যে প্রজনন হরমোন রয়েছে যা স্তন ক্যান্সারের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *